নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতার বসতবাড়িতে হামলার অভিযোগে স্থানীয় সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীসহ ৮ জনের নামে মামলা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার মামলার শুনানীতে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত এ নির্দেনা দেন। গতকাল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক।
গত ১১ মার্চ উপজেলার সাহারিবল ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আকতার আহমদের পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আকতার আহমদসহ পরিবারের ৫ সদস্যকে জখম, বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
আক্রান্ত পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, ঘটনার পাঁচদিন আগে গত ৬ মার্চ সকালে সাহারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার আহমদের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন একটি প্রত্যয়নপত্র আনতে পরিষদে যান। ওইদিন মিনহাজ প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষরের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের কাছে যান। ওইসময় চেয়ারম্যান প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর না করে তাকে তাড়িয়ে দেন। পরে মিনহাজ উদ্দিন প্রত্যয়নপত্র না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে ক্ষুদ্ধ হন চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিরা।
এরই জেরে ১১ মার্চ দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন ও তার লোকজন আক্তার আহমদের বাড়িতে যান। ওইসময় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তার সহযোগিরা আকতারের বাড়িতে হামলা চালায়। ওইদিন উল্টো তার ছেলে মিনহাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা আকতার আহমদের স্ত্রী রাশেদা বেগম বাদী হয়ে গত ২৮ মার্চ চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি নালিশী মামলা রুজু করেন। আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন সহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিÑ চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, সাহারবিল হামলার ঘটনায় চেয়ারম্যান সহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশের কথা শুনেছি। এখনো কাগজপত্র পায়নি। কাগজপত্র পেলে মামলা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: